আ.লীগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরী বৈঠক

কার্যক্রম-নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে লকডাউনের কর্মসূচিতে কেউ মাঠে নামলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (০৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আইন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভাটি হওয়ার কথা ছিল আগামী মঙ্গলবার। আজ হঠাৎ এ বৈঠক ডাকা হয় মূলত আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করতে।
বিদেশে বসে আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির একাধিক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে যে প্রচার চালাচ্ছে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এমনকি আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বরগুনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও গাজীপুর থেকে বেশ কিছু নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছেন বলেও আলোচনা হয়।
একটি বাহিনীর প্রতিনিধি বৈঠকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসানোর প্রস্তাব দেন। পরে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের বরিশাল অঞ্চলের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে তাদের অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। এই দুই নেতা বিদেশ বসে আবারও অতীতের মতো কোনো কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে আভাস দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে থাকা একটি সূত্র আরও জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আপাতত সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে না সরিয়ে আরও কিছুদিন রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ।
বিজ্ঞাপন
মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্য সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সেনাবাহিনী আগের মতোই মাঠে থাকবে। মাঠ থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে না।








