সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ও বিচারিক ক্ষমতা দিবে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ আয়োজন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি জোরদার করেছে। নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মনির হোসেন জানালেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ইতিপূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, নির্বাচনে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা অপরিহার্য।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সমন্বয়, সততা ও পেশাদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশন ইঙ্গিত দিয়েছে, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা ও নৌবাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এতে নির্বাচনকালীন সময়ে সশস্ত্র বাহিনী কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, ভোটার ও ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে।
প্রস্তুতি হিসেবে দেশে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা, অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী মালামাল পরিবহন ও ভোটকেন্দ্রে আনা-নেওয়ার জন্য হেলিপ্যাডসহ নৌযান ব্যবহার করা যেতে পারে। বাহিনীকে প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অনুমতি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নতুন আনসার-ভিডিপি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে অভিজ্ঞ ও পেশাদার জনবল মোতায়েন করা হবে, এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভাতাদি অনলাইনে প্রদান নিশ্চিত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনে ড্রোন, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও সিআইডি-এর মাধ্যমে নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব প্রতিরোধের জন্য এনটিএমসি-র বিশেষ অ্যাপস তৈরি করা হবে। এছাড়া সীমান্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনী অপরাধ, অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দমন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
নির্বাচন কমিশনাররা সবাইকে সতর্ক করেছেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় অপরিহার্য। ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রধান। এছাড়া মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য নিয়মিত ব্রিফিং প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশনাররা উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনে প্রতিরোধ, হামলা বা ভোটকেন্দ্র দখলের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একক ও সমন্বিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল দায়িত্বপ্রাপ্তকে কমিশনের পক্ষ থেকে কাজ করা মনে করে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।








