Logo

নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রী নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ নভেম্বর, ২০২৫, ২০:০১
21Shares
নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রী নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে এবং পরবর্তীতে এর মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের প্রার্থীর নাম স্থগিত রাখা হয়েছে। শীর্ষে রয়েছেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তিনি দীর্ঘদিন শারীরিক কারণে চিকিৎসাধীন।

বিজ্ঞাপন

দলীয় ঘোষণায় জানা গেছে, খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়ার একটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে কে নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন এবং নির্বাচনে জিতলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন—এ বিষয়ে দল এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, নির্বাচনের মাঠে বিএনপি কাকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালাবে। একদিকে শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়া, অন্যদিকে তারেক রহমান এখনও দেশে আসেননি। তবে দল বলছে, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তিনটি আসনে খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করা বিএনপির একটি নির্বাচনী কৌশল। তাদের ধারণা অনুযায়ী, নির্বাচনে জিতলে সরকার গঠনের দায়িত্ব মূলত তারেক রহমানের। তবে তার দেশে ফেরার সময় এখনও নির্ধারিত নয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আমরা আশা করি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে নির্বাচনে নেতৃত্ব দেবেন। মাঠে নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনা করবেন তারেক রহমান। বর্তমান বাস্তবতায় তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন—এই চিন্তা করছে দল।

বিএনপির ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৭ এবং দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী থাকবেন। তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে অংশ নেবেন।

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়া প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন ১৯৯১ সালে। তারেক রহমান এবারের নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও ২০০৮ সালে তিনি প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন, কিন্তু সেই নির্বাচন শেষপর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের জয়ের পর তারেক রহমানকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার সময় তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের পর বিএনপির পূর্ণ কর্তৃত্ব তারেক রহমানের হাতে আসে। এরপর থেকে দলীয় কার্যক্রম মূলত তার নেতৃত্বে লন্ডন থেকে পরিচালিত হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ কাজী মারুফুল ইসলাম মনে করেন, তিনটি আসনে খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করা বিএনপির পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা, যা দেখাচ্ছে যে তিনি এখনও দলের শীর্ষ নেতা। তবে দল নির্বাচন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তারেক রহমানকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

লেখক ও বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদও মন্তব্য করেন, খালেদা জিয়া দলনেতা হিসেবে থাকবেন, আর নির্বাচনে জিতলে সরকার গঠনের দায়িত্ব নেবেন তারেক রহমান। তবে সবকিছু নির্ধারিত হবে তারেক রহমান দেশে ফেরার পর।

বিজ্ঞাপন

বৃহৎ অর্থে, বিএনপির নির্বাচনী কৌশল স্পষ্ট: খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা দেখানো এবং সরকারের প্রধান হিসেবে তারেক রহমানের সম্ভাব্য নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠা করা। তবে এটি কার্যকর হবে শুধু তখনই যখন তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD