আপনার ফোন কি বৈধ,জেনে নিন আপনার ফোনের অবস্থা

দেশের বাজারে প্রায় ৬০ শতাংশ মোবাইল ফোন অবৈধ পথে আমদানি হচ্ছে। ফলে সরকার প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওনার্স অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনটি জানায়, অবৈধ ফোন ব্যবসায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় উৎপাদকরা, তেমনি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে রাষ্ট্র। এ পরিস্থিতি নিরসনে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানায় এমআইওবি।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
বিজ্ঞাপন
আপনার ফোনের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি জানতে ফোন থেকে *#06# ডায়াল করুন।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ এর আগে মোবাইল নেটওয়ার্কে সক্রিয় হওয়া সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং এগুলোর জন্য আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।
বিদেশ থেকে আনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া ফোন প্রথমবার নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে একটি এসএমএস পাবেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে NEIR পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ভবিষ্যতে প্রয়োজনের জন্য ফোনের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করুন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ঘোষণা করেছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে নিবন্ধনবিহীন বা আন-অফিশিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করা গেলে সেই ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহার হওয়া সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বর আগে ব্যবহৃত ফোন আলাদাভাবে নিবন্ধন করার কোনো প্রয়োজন নেই।
বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহারকারীরা বাড়ি বসেই সহজে জানতে পারবেন তাদের ফোন বৈধ কি না।
বিজ্ঞাপন
যাচাই করার ধাপগুলো জেনে নিন-
*মোবাইল ফোন থেকে
*16161# নম্বরে ডায়াল করুন।
বিজ্ঞাপন
*আভ্যন্তরীণ বক্স খুললেই হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে পাঠান।
*কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ফিরতি মেসেজে আপনার ডিভাইসের হালনাগাদ নিবন্ধন পরিস্থিতি জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক ডেটিং এখন তরুণদের মধ্যে ট্রেন্ডিং
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্তভাবে বরাদ্দ করা সেবা নেওয়া যাবে বিটিআরসির সিটিজেন পোর্টাল অথবা আপনার মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার।
বিটিআরসি সতর্ক করে জানিয়েছে, ফোন কেনার সময় বিক্রেতার কাগজপত্র, IMEI নম্বর মিলছে কি না এবং ফোনটি আসল কি না, নিশ্চিত করা অপরিহার্য। নকল বা ক্লোন ডিভাইসের কারণে ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক সংযোগ বন্ধসহ সরকারি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হতে পারেন ব্যবহারকারীরা।








