কোটি কোটি ই-মেইলের পাসওয়ার্ড ফাঁস, যেভাবে জানবেন আপনি ঝুঁকিমুক্ত কি না!

বিশ্বব্যাপী বড় আকারের আরেকটি সাইবার নিরাপত্তা বিপর্যয় ঘটেছে। এবার ফাঁস হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই অন্যতম বড় ডেটা ফাঁসের ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, ফাঁস হওয়া ই-মেইলগুলোর একটি বড় অংশ গুগলের জনপ্রিয় পরিষেবা জি-মেইল ব্যবহারকারীদের।
বিজ্ঞাপন
গুগল অবশ্য তার ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করে বলছে, যেন কেউ আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন, গুগলের নিজস্ব সার্ভার বা সিস্টেম হ্যাক হয়নি। এই তথ্য ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও ব্রাউজার থেকে এসেছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের লগইন ডিটেলস চুরি করা হয়েছিল বলে তাদের দাবি। খবর ফোর্বসের।
সাইবার ইনসাইডার ও ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, গুগল নিরাপদ থাকলেও সেই তথ্যের পুনর্ব্যবহার এবং বিক্রি হওয়ার বিপদ রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই তথ্য ডার্ক ওয়েবে ঘুরছে। অনেক ব্যবহারকারী একাধিক অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে ব্যাংকিং, অনলাইন শপিং বা অফিসের মেইল অ্যাকাউন্টেও হ্যাকাররা প্রবেশ করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ট্রয় হান্ট, যিনি বিশ্বখ্যাত প্ল্যাটফর্ম ‘Have I Been Pwned’ (HIBP) পরিচালনা করেন, তিনি জানিয়েছেন যে এই নতুন ডাটাসেটের নাম ‘Syntiant Stealer Log Threat Data’। এটি কোনো একক ওয়েবসাইট থেকে চুরি হয়নি; বরং সারা বিশ্বের সংক্রমিত ডিভাইস থেকে সংগৃহীত লগ ফাইল বিশ্লেষণ করেই তৈরি হয়েছে এই বিশাল ডাটাবেস।
আপনার ই-মেইলও কি ঝুঁকিতে? জেনে নিন সহজ উপায়ে
আপনার ই-মেইল ঠিকানা ফাঁস হয়েছে কি না জানতে এখনই ভিজিট করতে পারেন Have I Been Pwned ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে নিজের ই-মেইল আইডি লিখলেই জানতে পারবেন—আপনার তথ্য এই ডাটাসেটে রয়েছে কি না।
বিজ্ঞাপন
যদি সন্দেহ হয় যে আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে, তাহলে গুগলের Security Checkup টুল ব্যবহার করুন। এটি অপরিচিত ডিভাইস, সন্দেহজনক লগইন বা ঝুঁকিপূর্ণ থার্ড-পার্টি অ্যাপ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—
বিজ্ঞাপন
🔹 নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন
🔹 প্রতিটি অ্যাকাউন্টে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
🔹 ‘টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন’ চালু রাখুন
বিজ্ঞাপন
🔹 অচেনা লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট খুলতে সতর্ক থাকুন
ডেটা ফাঁস এখন নতুন কিছু নয়, তবে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও নিয়মিত নিরাপত্তা চেকই পারে বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে।








