সালমান শাহ হত্যা মামলায় প্রশাসনের তৎপরতা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অমর নায়ক সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
তবে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার আকস্মিক মৃত্যু আজও রহস্যের পর্দায় ঢাকা। ভক্তরা হত্যার দাবি তুললেও একাধিক তদন্তে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মৃত্যুর পর রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর সালমান শাহের মামা মোহাম্মদ আলমগীর ২১ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সালমানের স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক জানান, প্রায় ২৯ বছর আগে দায়েরকৃত মামলার আসামিদের খুঁজে বের করতে পুলিশ তৎপর। দেশের ভিতরে থাকা আসামিদের অবস্থান প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্তের চেষ্টা চলছে, অনেকেই বিদেশে পালিয়ে আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সালমান শাহের ভাড়া বাসায় তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মামলার কিছু আসামির—সামিরা, লুসি ও ডন—দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
সালমান শাহের পরিবার শুরু থেকেই দাবি করে আসছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। তার মা নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ হত্যার মামলা নথিভুক্ত না করে অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন। অন্যদিকে, সালমানের স্ত্রী সামীরা সবসময় হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এটি আত্মহত্যা ছিল, কারণ সালমান মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন এবং বিয়ের আগে তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।








