‘ফজু পাগলা’ উপাধি নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফজলুর রহমান

তবে সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে তার আরেকটি পরিচয় ‘ফজু পাগলা’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু ধর্মীয় বক্তার মাধ্যমে তিনি এই উপাধি পেয়েছেন। এবার ফজলুর রহমান সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, এই নামের জন্য তিনি বিশেষভাবে আনন্দিত।

আরও পড়ুন: বিএনপি ও জামায়াতের প্রস্তাব, জোটে যেতে নারাজ এনসিপি

তিনি বলেন, মুফতি আমির হামজা এবং মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে ‘ফজু পাগলা’ বলে অভিহিত করেছেন। আমি দেখি, কথাটা ঠিকই বলেছেন। তাই তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ফজলুর রহমান আরও বলেছেন, এই উপাধি কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ-এর সঙ্গে সম্পর্কিত।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, আমি ভেবেছি, ফজু পাগলা নামটা সত্যিই যথাযথ। কারণ কিশোরগঞ্জে সাধারণ একটি মসজিদ আছে যার নাম পাগলা মসজিদ। এই মসজিদে মানুষের যে দান, সেই সম্পদ অনেক বেশি। এটা এমনকি বায়তুল মোকাররমের চেয়েও বেশি। ঠিক তেমনি, ফজু পাগলাতেও মানুষ দান করেন, দিচ্ছেন, সব ধরনের সমর্থন দেন। তাই এটা সাংঘাতিক ব্যাপার।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

তিনি আরও বলেন, পাগলা নামটা সত্যিই শক্তিশালী উপাধি। আমি ভেবেছি কেন মাওলানা নামধারী ব্যক্তিরা আমাকে এই নাম দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, যেভাবে পাগলা মসজিদ মানুষকে আকৃষ্ট করছে, ঠিক তেমনি ফজু পাগলাও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। মানুষ আমাকে সমর্থন দিচ্ছে, দিচ্ছে তাদের সম্পদ। এটা খুব ভালো লাগছে।

ফজলুর রহমানের এই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি তার সামাজিক ও ধর্মীয় স্বীকৃতিও এই নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী এলাকায় তার এই স্বতন্ত্র পরিচয় কিছুটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।