সুড়ঙ্গে আটকে থাকা যোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করবে না: হামাসের ঘোষণা

গাজা উপত্যকার রাফা অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা কোনো অবস্থাতেই আত্মসমর্পণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাসের সামরিক শাখা ইজ আল-দ্বীন আল-কাশেম ব্রিগেড রবিবার এক বিবৃতিতে এই অবস্থান জানায়।
বিজ্ঞাপন
হামাস বলেছে, তাদের নীতিতে “আত্মসমর্পণ” বা “শত্রুর কাছে সমর্পণ” শব্দের কোনো স্থান নেই। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, রাফার সুড়ঙ্গে থাকা যোদ্ধাদের ওপর যদি কোনো সামরিক অভিযান চালানো হয়, তার দায় সম্পূর্ণভাবে দখলদার বাহিনীকেই নিতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইজ আল-দ্বীন আল-কাশেম ব্রিগেডের অভিধানে আত্মসমর্পণ বলে কিছু নেই। আমাদের যোদ্ধারা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়বে।” একই সঙ্গে গোষ্ঠীটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বজায় রাখতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত মাসে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির সময় রাফার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধা আটকা পড়েন। সেই সুড়ঙ্গ এলাকার নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে ইসরায়েলের হাতে।
সম্প্রতি হামাস দাবি করেছে, তারা রাফা অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সেনা লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। গোল্ডিন ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ (রবিবার) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় মরদেহটি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জামির গত সপ্তাহে জানান, হামাস যদি গোল্ডিনের মরদেহ ফেরত দেয়, তবে রাফায় আটকে থাকা যোদ্ধাদের নিরাপদ প্রস্থান দেওয়ার বিষয়ে তারা বিবেচনা করবে। তবে সেই সুযোগের আগে হামাস সদস্যদের অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে ইসরায়েলি পক্ষ জানায়।
বিজ্ঞাপন
এই শর্তই মূলত হামাসের দৃঢ় প্রত্যাখ্যানের কারণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। গোষ্ঠীটির দাবি, “যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে হলে দখলদারদের একতরফা শর্ত নয়, ন্যায়ভিত্তিক সমাধানই গ্রহণযোগ্য।”
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এ ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। কূটনৈতিক মহল বলছে, রাফায় আটকে থাকা যোদ্ধাদের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার পরবর্তী আলোচনার ওপর।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল–জাজিরা, রয়টার্স








