কড়া হুঁশিয়ারি আফগান মন্ত্রীর, পাকিস্তানের সঙ্গে ফের যুদ্ধের শঙ্কা

 বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নতুন করে বৈঠকে বসেন পাক-আফগান প্রতিনিধিরা। শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। তবে, শনিবার (০৮ নভেম্বর) জানা যায় এই আলোচনা ব্যর্থ হয়ে গেছে। এতে আবারও নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

এ অবস্থায় পাকিস্তান যদি আফগানিস্তানে কোনো হামলা চালায় এবং এর ফলে যদি যুদ্ধ বাঁধে তাহলে পাকিস্তানকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন আফগানিস্তানের উপজাতি ও সীমান্ত মন্ত্রী নুরুল্লাহ নুরি। 

আরও পড়ুন: এবার ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা

তিনি বলেছেন, আফগানদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন না। যদি যুদ্ধ বাঁধে আফগানিস্তানের বৃদ্ধ-যুবক; সবাই মাঠে নামবে।

এর আগে, আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেন, শান্তি আলোচনা নিয়ে পাকিস্তানের মধ্যে ‘সিরিয়াসনেসের অভাব’ রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানকে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন জাবিহুল্লাহ। তিনি বলেন, আল্লাহ ও সাধারণ মানুষের সহায়তায় আফগানিস্তান তার ভৌগলিক অখণ্ডতা অক্ষুন্ন রাখবে।

তালেবান সরকার জানিয়েছে, সর্বশেষ আলোচনা ব্যর্থ হলেও যুদ্ধবিরতি অক্ষুন্ন থাকবে। অলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য পাকিস্তানের ‘অসহযোগিতামূলক এবং দায়িত্বহীনতাকে’ দায়ী করেছেন তারা।

টানা কয়েকদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর (১৯ অক্টোবর) কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকে বসে দুই দেশের সরকার। এরপর ওইদিনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তারা।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, যা বলছে ইরান

আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার দায় পাকিস্তানের ওপর দিয়ে আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আলোচনার সময় পাকিস্তানি পক্ষ তাদের সব নিরাপত্তার দায় আফগানিস্তান সরকারের ওপর চাপাতে চেয়েছিল। অথচ, তারা নিজেদের এবং আফগানিস্তানের কোনো নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে ইচ্ছা দেখায়নি।

তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের অসহযোগিতামূলক এবং দায়িত্বহীন আচরণের কারণে আলোচনায় কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। শনিবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউজ১৮।