বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের মধ্যে বিরাট সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের শিকার হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
ঘটনা ঘটেছে রবিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায়।
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
দলীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-৩ আসনের বিএনপি মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেন। মনোনয়ন বঞ্চিত পক্ষের সমর্থকরা রোববার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ইকবালের সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এখানে উত্তেজিত ইকবাল সমর্থকরা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে হিরনের মহিলা সমাবেশের মঞ্চে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
সংঘর্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ফলে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেন বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি পক্ষ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। আমি দাবি করছি, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, শনিবার রাতে জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পুর কার্যালয়ে হামলা ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে ৪০ রামদা জব্দ করা হয়।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তায়েবুর রহমান হিরনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে হিরনের সমর্থকরা অভিযোগ করেন, ইকবাল সমর্থকরা আমাদের মহিলা সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে, এতে অনেক কর্মী আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
গৌরীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে। তবে যেকোনো সম্ভাব্য উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।
সংঘর্ষ ও হামলার এই ঘটনা স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত ও মনোনীত দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রশাসনের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।








