নেতার ছেলে যোগ্য শিক্ষক হলেও অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, সমাজের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হলে এ দেশ ভালো মানুষের জন্য বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে। শনিবার (১ নভেম্বর) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–বাংলাদেশের (এআইইউবি) সহকারী অধ্যাপক সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদের একাডেমিক পথচলা অত্যন্ত বর্ণাঢ্য। ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো, ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে তিনি এআইইউবিতে নিয়মিত শিক্ষকতা করছেন। তিনি নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি গবেষণা ও লেখালেখিতেও যুক্ত আছেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছে বহুবার। দেশ নিয়ে তার ভাবনা খুবই ইতিবাচক—বিশেষ করে শিক্ষাখাত, খেলাধুলা ও তরুণ সমাজ নিয়ে তিনি ভাবেন। কিন্তু তার অপরাধ কী? যে তিনি একজন নেতার ছেলে? আমরা পরিবর্তনের রাজনীতি করি, অথচ নেতার ছেলে যোগ্য শিক্ষক হলেও সেটা এখন যেন অপরাধ!’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও লেখেন, ‘সাঈদ ইব্রাহিম এমন কেউ নন, যিনি নেতার সন্তান পরিচয়ে প্রচার চান। তিনি ভদ্র, বিনয়ী ও আন্তরিক একজন মানুষ। তাহলে কি তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য খারাপ কোনো পথে গেলে সমাজ খুশি হতো?’
ফেসবুকের নেতিবাচক প্রচারণার সমালোচনা করে রাশেদ খান উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন এমন জায়গায় পরিণত হয়েছে যেখানে যার বিষয়ে যা খুশি লিখে দেওয়া হয়, আর অন্ধ অনুসারীরা তা বিশ্বাস করে প্রচার চালায়। এ ধরনের মিথ্যাচার ও চরিত্রহনন সমাজের নতুন কোনো রাজনীতির ফল নয় বলেও তিনি মনে করেন।
এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ বলেন, ‘ড. ইউনূস স্যার একজন ৮৫ বছরের মানুষ। অনেকের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানুষ। তার সঙ্গে স্মৃতি গর্বের—যেমন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গেও আমাদের স্মৃতি রয়েছে।’








