শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১২০

রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর পুলিশ শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে লাঠিচার্জ করেছে। এতে ১২০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আহত শিক্ষকদের মধ্যে অনেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে, কিছু শিক্ষক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শেষে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ১০ম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে। অনেক শিক্ষক পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষকদের দাবি হলো—সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩,৮৪,০০০। গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম ও ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও সহকারী শিক্ষকরা বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়ে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।








