Logo

"অতিরিক্ত ঘুম বিপদ ডেকে আনে"

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
৪ নভেম্বর, ২০২৫, ২১:৩৫
4Shares
"অতিরিক্ত ঘুম বিপদ ডেকে আনে"
ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ভালো ঘুম শরীর ও মনের জন্য কতটা দরকারি, তা আমরা সবাই জানি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মন খারাপ, এমনকি ত্বকেও ক্লান্তভাব চলে আসে। কিন্তু জানেন কী, ঘুম বেশি হলেও শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম ঘুম যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও শরীরের জন্য সমান ক্ষতিকর হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিদিন গড়ে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমই স্বাভাবিক। কিন্তু কেউ যদি প্রতিদিন ৯-১০ ঘণ্টা বা তারও বেশি ঘুমানো, সেটিকে অতিরিক্ত ঘুম বলা হয়। এর পেছনে থাকতে পারে নানা কারণ যেমন-

১.থাইরয়েডের সমস্যা

২.হৃদরোগ বা স্লিপ অ্যাপনিয়া

বিজ্ঞাপন

৩.ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ

৪.ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কখনো কখনো শরীর ঠিক থাকলেও জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা না থাকলে বা রাতে দেরি করে ঘুমালে দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বেশি ঘুমে যেসব সমস্যা হয় তবে চলুন জেনে নিই-

১.ওজন বেড়ে যাওয়া

বিজ্ঞাপন

২.ঘন ঘন মাথাব্যথা

৩.পিঠে বা ঘাড়ে ব্যথা

৪.ডিপ্রেশন বা মন খারাপ লাগা

বিজ্ঞাপন

৫.ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি

ঘুম মানেই বেশি বিশ্রাম- এই ধারণা একেবারেই ভুল।যদি চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো কারণ না থাকে, তাহলে কিছু অভ্যাস বদলালেই ঘুমের ভারসাম্য ফিরে আসতে পারে-

নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন :

বিজ্ঞাপন

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। এমনকি সপ্তাহান্তেও এই অভ্যাস বজায় রাখুন। এতে শরীর নিজের ছন্দে ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন :

ঘর অন্ধকার, শান্ত ও ঠান্ডা রাখুন। বিছানা ও বালিশ যেন আরামদায়ক হয়। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টিভি ব্যবহার না করাই ভালো।

বিজ্ঞাপন

দিনে ঘুমানো কমিয়ে দিন :

দুপুরে খাবার পর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করুন। তার বদলে হালকা হাঁটা, বই পড়া বা অন্যকোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

বিজ্ঞাপন

স্লিপ ডায়েরি রাখুন :

প্রতিদিন কখন ঘুমাতে যাচ্ছেন, কত ঘণ্টা ঘুমাচ্ছেন, ঘুম ভেঙে গেলে কী করেন-এসব নোট করে রাখুন। প্রয়োজনে সেই তথ্য নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত ঘুম কখনো শরীরের অলসতার ফল, কখনো আবার কোনো রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা, শরীরচর্চা করা এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা-এই ৩টিই সুস্থ ঘুমের মূল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, যতটা দরকার ততটাই ঘুম-সেটাই আসল ভারসাম্য। সূত্র : ফেমিনা

জেবি/এমএল
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD