নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া সম্ভব কি না জানতে চেয়েছে ইরান: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে কি না, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইরান তা জানতে চেয়েছে। তার দাবি, ইরান জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারবে কি না।একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা ইরানের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তিনি আলোচনায় উন্মুক্ত আছেন বলেও দাবি করেছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “ইরান জানতে চেয়েছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া সম্ভব কি না। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করতে বড় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। আমি বিষয়টি শুনতে আগ্রহী এবং দেখি কী হয়। আমি এ ব্যাপারে উন্মুক্ত।”
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা এবং ওই অঞ্চলের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা বন্ধ না করে, তাহলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সহযোগিতা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
রয়টার্স বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে তার তথাকথিত “সর্বোচ্চ চাপ” প্রয়োগের নীতি আবারও চালু করেন। এর আওতায় তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে নতুন করে চাপ প্রয়োগ করছে দেশটি।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে চলতি বছরের জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলাও চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: লেবাননের চার শহরে ইসরায়েলের হামলা
এর আগে দুই দেশ পারমাণবিক ইস্যুতে পাঁচ দফা আলোচনা করেছিল। তবে জুনে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের পর থেকে আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রধান বিরোধের বিষয় হচ্ছে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম।
বিজ্ঞাপন
পশ্চিমা দেশগুলো চায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হোক যাতে ইরানের অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনা শূন্যে নেমে আসে। কিন্তু তেহরান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।








