ঢাবি শিক্ষিকা মোনামীর সাইবার মামলার তদন্তের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামীর করা সাইবার সুরক্ষা আইনের মামলার তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। এ মামলাটি ঢাকার শাহবাগ থানায় সোমবার (৩ নভেম্বর) দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার চারজন বিবাদীর বিরুদ্ধে শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামীর সুনামের প্রতি আঘাত ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে। ১ নম্বর বিবাদী: সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, ২ নম্বর বিবাদী: লেখক ও এক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ৩ নম্বর বিবাদী: ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন এবং ৪ নম্বর বিবাদী: আশফাক হোসাইন ইভান।
বিজ্ঞাপন
মামলার সঙ্গে তাদের কুরুচিকর মন্তব্যের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়েছে।
মামলা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামী বলেন, আমার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি একজন সাধারণ শিক্ষক। গত এক বছর ধরে আমাকে নিয়ে এমন আচরণ চালানো হচ্ছে, যার কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই আমি এই মামলাটি করেছি।
বিজ্ঞাপন
আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে এই ধরনের মামলার দ্রুত তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিল প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
এই মামলার তদন্ত শেষে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।







