‘রয়টার্সের সাংবাদিকতা এখন আর আগের মতো নির্ভরযোগ্য নয়’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের অতীতের সাংবাদিকতার মানদণ্ড হারিয়ে ফেলেছে। একসময় বিশ্বস্ত সংবাদ উৎস হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানটি এখন আর আগের মতো নির্ভরযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই মন্তব্য করেন উপ-প্রেসসচিব।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, রয়টার্সে সাত বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সংস্থাটির সম্পাদকীয় নীতি ও পেশাদার মানদণ্ড সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের একাধিক প্রতিবেদনে তথ্যভিত্তিক ভুল ও দায়িত্বহীনতা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
মজুমদার জানান, গত দেড় বছরে বাংলাদেশসংক্রান্ত তিনটি বড় ভুল করেছে রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বর্তমান অস্থিরতার দায় কার, প্রশ্ন নুরের
প্রথমত, একটি আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের খবরে তারা ভুয়া উদ্ধৃতি ব্যবহার করে এবং নিহত ব্যক্তিকে ভুলভাবে আটক ইসকন নেতার আইনজীবী হিসেবে উপস্থাপন করে।
দ্বিতীয়ত, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভিডিওর সঙ্গে উল্লেখিত ঘটনার কোনো সম্পর্ক ছিল না, যা পরে সরিয়ে নেওয়া হলেও রয়টার্স প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেনি।
বিজ্ঞাপন
তৃতীয়ত, প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর নিয়ে তারা ভুলভাবে জানায় যে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া যৌথভাবে মায়ানমারে শান্তিরক্ষা মিশন পাঠাতে সম্মত হয়েছে, অথচ বাস্তবে বাংলাদেশ এমন কোনো প্রস্তাব দেয়নি বা রাজিও হয়নি।
তিনি আরও দাবি করেন, রয়টার্সের কুয়ালালামপুরে স্থায়ী সংবাদদাতা না থাকলেও, তারা ঢাকাভিত্তিক সূত্র থেকে খবর তৈরি করেছে— যা সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী।
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের মতে, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে যে রয়টার্স আর আগের মতো সাংবাদিকতার আদর্শ বহন করছে না। রয়টার্সের যেসব প্রতিবেদন শুধুমাত্র ইমেইল সূত্রের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয় এবং যেখানে কোনো রিয়েল-টাইম ছবি নেই, সেগুলো এখন সন্দেহের চোখে দেখা উচিত।









